গতকাল সৌদি আরবে দু’দিনের সফরে গেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। এই সফরে তিনি দেশটির ডি ফ্যাক্টো শাসক এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত দেশটির ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হ’ত্যা করা হয়। তারপর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে কিছুটা অবনতি ঘটে। আলজাজিরা ও রয়টার্স।
ক্রাউন প্রিন্সের সাথে সাক্ষাৎ করা ছাড়াও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন এরদোগান। তুরস্কের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এই সফরের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তুর্কি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, অর্থনীতি, বিনিয়োগ, আঞ্চলিক সমস্যা থেকে শুরু করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অস্থিরতার সময়গুলোকে পেছনে ফেলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। উভয় পক্ষের জন্যই এই বৈঠক বেশ কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ দিকে চলতি মাসে তুরস্কের মাটিতে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি হ’ত্যায় অভিযুক্ত ২৬ সৌদি নাগরিকের অনুপস্থিতিতে বিচার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা। মামলাটি সৌদি আরবে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর ফলে দু’দেশের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা মূল্যায়নে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয় যে, সম্ভবত এই হ’ত্যাকা’ণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্রাউন প্রিন্স সালমান। তারপরেই বিষয়টি ক্রাউন প্রিন্সের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে।
